1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত

  • Update Time : রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০
  • ১৮৮ Time View

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন, সুসংহত ও টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে আবারও বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

শনিবার (২৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবস উপলক্ষে পৃথক বার্তায় ফিলিস্তিনী জনগণের অবিচ্ছেদ্য আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, জাতীয় স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের প্রতি বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

রাষ্ট্রপতি তার বার্তায় বলেন, ফিলিস্তিনী জনগণের সাথে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনী জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রদানের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করছে। পূর্ব জেরুজালেমের সাথে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে আল কুদস আল-শরীফকে রাজধানী করে দ্বিরাষ্ট্র নীতির ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে আমাদের নীতিগত অবস্থানের বিষয়টি পুনরুল্লেখ করছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনা এবং আমাদের সংবিধানের সাথে সঙ্গতি রেখে, বাংলাদেশ সব সময় সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এগুলোর বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকার আদায়ে সংগ্রামরত মানুষকে সমর্থন দিয়ে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার প্রথম ভাষণে ১৯৭৪ সালে ওআইসির দ্বিতীয় সম্মেলনে এবং ১৯৭৩ সালে চতুর্থ নাম সম্মেলনে ফিলিস্তিনী জনগণের সংগ্রাম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। স্বাধীনতার পর থেকেই এই অবস্থানে অটল রয়েছে বাংলাদেশ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণহত্যার যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতিই আমাদেরকে ফিলিস্তিনীদের উপর হওয়া অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রেরণা যুগিয়েছে। বহু বছর ধরে অন্যায় করা হচ্ছে ফিলিস্তিনীদের উপর। বাংলাদেশ এই সংকটের দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়ে আসছে। এই নীতির আলোকে বাংলাদেশ মিয়ানমারের ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে এবং এই সংকটের একটি টেকসই সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ ফিলিস্তিনী জনগণের উপর দখলদার বাহিনীর শক্তি প্রয়োগের জোরালো বিরোধীতা করছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতাই ফিলিস্তিনী জনগণের দুর্দশার জন্য দায়ী। এই দিনে বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী ফিলিস্তিন ও এর ভূখণ্ডগত স্বার্বভৌমত্বের পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে। আমরা অবিলম্বে ফিলিস্তিনীদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস এবং দখলদার বাহিনীর অব্যহত আগ্রাসন ও অবৈধ স্থাপনা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর এই অব্যাহত মানবাধিকারের লংঘনের অবসানের আহ্বান জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনীদের মানবাধিকার রক্ষায় এবং জাতিসংঘ প্রস্তাব, আরব পিস ইনিশিয়েটিভ ও কার্টেট রোড ম্যাপের আলোকে এই সংকটের একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।

সূত্র : বাসস

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..